পাড়ার মধ‍্যে গালিগালাজ করার প্রতিবাদ করায় মদ‍্যপ এর হাতে আক্রান্ত প্রতিবাদী ও তার পরিবার

5th February 2021 9:57 am বাঁকুড়া
পাড়ার মধ‍্যে গালিগালাজ করার প্রতিবাদ করায় মদ‍্যপ এর হাতে আক্রান্ত প্রতিবাদী ও তার পরিবার


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : রাতের অন্ধকারে বেধড়ক মারধর করল ক্লাবের সেক্রেটারি ও তার পরিবারের লোকজনকে স্থানীয় এক মদ‍্যপ যুবক । অভিযোগ দায়ের বিষ্ণুপুর থানায় । রাতের অন্ধকারে বিষ্ণুপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয় এক যুবক অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে ।  এরপর পাশেই থাকা পথের দাবী ক্লাবের সেক্রেটারি ওই যুবককে গালিগালাজ করতে বারণ করেন ।  তারপরে ওই যুবক চড়াও হয় সেক্রেটারির ওপর । এলোপাতাড়িভাবে বেধড়ক মারতে থাকে ওই যুবক ।  সেক্রেটারি  এর চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসে পাশের ঘরে থাকা তার ৮০ বছরের বৃদ্ধ পিসিমা এবং ভাগনা । এরপর অভিযুক্ত যুবক সেক্রেটারিকে ছেড়ে তার পিসিমা ভাগনার ওপর চড়াও হয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকে ।  পরিবারের লোকজনের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গ্রামবাসীরা । এরপর ওই যুবক এলাকা থেকে চম্পট দেয়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা সেক্রেটারি ও তার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে যায় বিষ্ণুপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ওই যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয় বিষ্ণুপুর থানায় । পথের দাবী ক্লাবের সভাপতি অজিত কুমার লাহা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং অভিযুক্তকে চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন । সমগ্র বিষয়ে বিষ্ণুপুর পৌরসভার প্রশাসক দিব্যেন্দু ব্যানার্জি জানান আমার কাছে এখনো এ বিষয়ে কোনো কেউ অভিযোগ করেনি । তবে আমি শুনতে পারলাম বিষয়টা । তবে এ ধরনের ঘটনা কখনো মেনে নেওয়া যায় না । যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে অবশ্যই প্রশাসন তার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।